শতবর্ষ পরে
শুভ্রজিৎ মণ্ডল
আজ হতে শতবর্ষ পরে
যদি নিষ্প্রাণ অন্ধকার নামে ধরিত্রীপুরে।
তুমি আলোক বার্তা নিয়ে আবারো খুঁজবে
একটুখানি শান্তির দীর্ঘশ্বাস…
অকাতরে নিথর পাহাড় জঙ্গলে।
বিভীষিকার অন্তিমে মৃত্যুপুরীর হাহাকার,
একদিন যাবে থেমে।
কালের নীরবতায় গহীন সাগর তলে
আজ হতে শতবর্ষ পরে।
তোমার ক্লান্ত চরণে কাঁটার দীর্ঘ ক্ষত…
যদি রক্তে রক্তে এই স্বর্গভূমি যায় ভেসে।
তবু এই নির্ভয় আত্মত্যাগ থাকবে অমলিন
সভ্যতার ইতি কথায় জীবনের প্রহেলিকা জুড়ে।
থাকবে দীপ্ত হয়ে আজ হতে শতবর্ষ পরে।
শত শত পচাগলা লাশের বিষাক্ত প্রশ্বাসে–
জাগবে আবার নব প্রাণের স্পন্দন।
মনুষ্যত্বের নিষ্কৃতিহীন পক্ষাঘাতে,
সবুজ প্রাণের ছন্দ ফিরবে পুনরায় মলয় বাতাসে।
বহুকাল পরিত্যক্ত রাজমহলের জীর্ণ ইটের স্তূপে–
নয়তো কোন স্যাঁতসেঁতে শ্যাওলার পিচ্ছিল পাথরে,
তোমার শতবর্ষ পূর্বের পদচিহ্ন থাকবে পড়ে!
নতুন উদ্যমে সদ্য জন্ম নেওয়া দুর্বাঘাসে–
আজীবন অমৃত রূপে!
স্বর্ণাক্ষরে থাকবে লেখা এই নিখাদ প্রেমবাণী
আজ হতে শতবর্ষ পরে!
তারপরেও যদি বাতাসে বাতাসে ধ্বংসের
নিলর্জ্জ অট্টহাসি,
তীব্র ঝংকারে চেতনার রন্ধ্রে রন্ধ্রে
দুঃস্বপ্ন সৃষ্টি্ করে।
ঘূর্ণাবর্ত হয়ে তোমার দিকে ভয়ংকর প্রলয়ে–
দানবীয় মর্দন আসে ধেয়ে।
প্রাণহীন জনপথের বাঁকে দেখবে খুঁজে
ছোট্ট বটের পাতায় থাকবে লেখা…
সৃষ্টির বর্ণময় স্মৃতিচারণ, স্রষ্টার জীবন্ত প্রতিমূর্তি ধরে।
জানবে আগামী ভবিষ্যৎ– আজ হতে শতবর্ষ পরে।
🌾🌾🌾 সমাপ্ত🌾🌾🌾
হিঙ্গলগঞ্জ, ভাণ্ডারখালী, ৭৪৩৪৩৯