বিভাগ-কবিতা(গদ্য)
শিরোনাম- ইতিহাস ও ভূগোল
লিখনে- প্রণব চৌধুরী
তাং-১৮,০৩,২০২১,
দর্শনের ছাত্র নই বটে,
ইতিহাসের ইতিবৃত্তের ইতি অনেক দিন আগেই টেনেছি,
তবুও কেন যে মনের সৌরজগতে,
আজ পৃথিবী নামক গ্রহের অবস্থানে,
ভারতবর্ষ নামক দেশটির অবস্থান কিছুটা হলেও একটু আবছা মনে হচ্ছে,
জানিনা মনের ভ্রম কিনা ৷
পাশ থেকে ভূগোল আমাকে কানের কাছে এসে সেই সকাল থেকে বিড়বিড় করেই চলেছে,
তার মাথা মুন্ডু কিছুই আমার বোধগম্য হচ্ছে না,
বাধ্য হয়েই পাশের বাড়ির থেকে ইতিহাস কে ডেকে নিই,
ইতিহাস কে দেখে ভুগোলের তো,
মাথায় রাগ উঠে গিয়ে আমাকে যা মুখে আসে তা নিয়ে গালিগালাজ করতে শুরু করে ৷
ইতিহাস তো তার এইরূপ দর্শনে
হতভম্ব ৷
আমি কিছু বোঝার আগেই-
ভূগোল বলে ওঠে,
আমি বর্তমান,
আমার কথা তোর বিশ্বাস হচ্ছে না,
তাই তুই মৃত ইতিহাসকে নিয়ে এলি তোর সাক্ষী মানতে ?
ও তোকে কি বলবে ?
সব বস্তাপচা ইতিহাস,
তাই তো আজ তার ডানহাত ও ডানপা কেটে বাদ দেওয়া হয়েছে ৷
ও তো ক্যানসারের রুগি,
মরেই যাচ্ছিল,
হাত পা কেটে দিয়ে কোন রকমে,
বেঁচে আছে আর কি ৷
এতক্ষন ধরে ইতিহাস তার কথা চুপচাপ শুনছিল,
এইবার নিজেকে ঠিক রাখতে না পেরে,
চিৎকার করে বলে উঠল,
বেইমান,
আজ আমার এই অবস্থা তার জন্য দায়ী কে ?
তুই তো ভূগোল,
তোমাতে বসতি করে সেই সব মনুষ্য,
যারা মানব জাতীর কলঙ্ক,
কিরে মানব সভ্যতাকে ধ্বংস করে গুহাবাসীদের জীবনে নিয়ে যাওয়া যায়,
সেই কাজ তারা অনন্ত কাল ধরেই করে চলছে ৷
আর তোর মদতেই আজ আমার এই করুণ পরিস্থিতি,
তাই তো আমি আজ করি বিরাজ,
ভারতের দ্বিখন্ডিত ইতিহাস রূপে ৷
আর আজ তোর মুখে এই কথা মানায় না,
বেইমান, মির্জাফর !
আজ আমি অঙ্গহীন হয়ে বাড়িতে আছি,
তবুও বেশ আঁচ করতে পারছি,
তোর অবস্থা ও শেষ বয়েসে আমার চেয়েও অনেক,
অনেক বেশী করুণ হইবেই,
আমি তা নিশ্চিত করে বলতে পারি ৷
আমি তবুও তো এক সাইড বাদ দিয়ে ক্রেচে ভর করে চলতে ফিরতে পারছি,
আর তোর কি হবে জানিস ?
যাকে নিয়ে তুই ঘর করছিস,
তোকে একদিন বেঁচে দেবে,
কিসের মেলা খেলা বাসিয়েছিস যে,
পাঁচ বছর পর পর,
ঘোটের মেলা তাতে ৷
তোর অবশিষ্ট আর থাকবে না ৷
না ভূমণ্ডলে,
না ভারতে,
এই তোকে বলে রাখলাম,
মিলিয়ে নিস আমার কথা ৷
এই যেন “ঘুটে পোড়ে আর গোবর হাসে আরকি ! ?
এখনও যদি বাঁচতে চাস,
আমাকে দেখে শিক্ষা নে,
আর তোর বাড়ির লোকজনদের চরিত্র পাল্টিয়ে দে,
নইলে আমি তো অবশিষ্ট ইতিহাসে রূপে স্থান পেয়েছি,
পরিশিষ্টতে ও তোর স্থান হবে না ৷
এই ভবিষৎ বাণী করে গেলাম ৷