বিভাগ ঃ কবিতা
একুশে ফেব্রুয়ারি
মো.ফজলুল হক খান কামাল
২১.২.২০২১
সূচনা তোমার তমুদ্দিন মজলিশের হাত ধরে।
১৯৪৭ সনের ১লা সেপ্টেম্বর –
অধ্যাপক অাবুল কাশেম তোমাকে সালাম।
সংগ্রামের মন্ত্রে, ন্যায়ের যুদ্ধে এমন
মজলিশের সন্ধানে মোরা হবো অাগুয়ান।।
কাজী মোতাহার হোসেন
তাঁর পুস্তিকার শিরোনাম দিলেন;
উর্দু না বাংলা পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা।
১৯৪৮ এর ২৩ ফেব্রুয়ারি গণপরিষদে
সরকারি ভাষার স্বীকৃতি পেলো উর্দু ও ইংরেজি।
দুখিনী বাংলা কেঁদে উঠলো,
একইসাথে গর্জে উঠলো বীর বাঙালি।।
ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত, গণপরিষদের প্রতিনিধি
প্রস্তাব করলেন সরকারি ভাষায় বাংলা রাখতে ;
নাকচ হলো প্রস্তাব
শুরু হলো প্রতিবাদ, বিক্ষোভ।
সময়ের প্রয়োজনে গঠন হলো
রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ।
১৯৪৮ থেকে ১৯৫১ পর্যন্ত ১১মার্চ পালিত
হলো রাষ্ট্রভাষা দিবস, রেসকোর্স তুমি সাক্ষী
২১মার্চ নাগরিক সংবর্ধনা সভায় জিন্নাহ সাহেব
সগর্বে বলেছিলো উর্দুই হবে পাকিস্তানের একমাত্র
রাষ্ট্রভাষা, উপস্থিত ছাত্রনেতৃত্ব এবং জনতা
ফুঁসে উঠেছিল একতায়।।
২৪ মার্চ কার্জন হলে সমাবর্তনে
একই চেনামুখ বাংলার দাবিকে করে
নাকচ, মুসলিম পরিচয় সমুন্নত রাখার অজুহাতে
উর্দুকেই প্রাধান্য দেয় হয়ে অতিশয় নিন্দুক।।
শুরু হলো তীব্র প্রতিবাদ,
সর্বস্তরের জনতায় গ্রহণযোগ্যতা পেলো
অান্দোলন-
১৯৫২ সনের ২৭ জানুয়ারি
খাজা সাহেব পল্টনে গাইলেন জিন্নাহর
পুরনো গান-
প্রতিবাদে ধর্মঘট, সমাবেশ
অবশেষে ২১ শে ফেব্রুয়ারি
১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে –
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই
বলতে বলতে গণপরিষদের
দিকে অগ্রসরমান মিছিলে
গুলি চালায় পুলিশ-
ভাষার তরে শহীদ হলো
সালাম,জব্বার, রফিক, বরকত
সফিউর এবং অজানা অনেক ;
জাতির জীবনে শোকাবহ, গৌরবোজ্জ্বল
অহংকারে মহিমান্বিত ২১শে ফেব্রুয়ারি
তুমি অনন্য এক……