যে বাঁশী ভেঙ্গে গেছে
………………………….
মো. আসাদুল হক
চাঁদপুর- ০৯.০২.২০২১ খ্রি.
পোস্টের তারিখ- ০২.০৩.২০২১ খ্রি.
এতো দিন পরে, কী মনে করে ?
নাকি পরিহাসের ছলে, দেখতে এলে নজরে ?
নাকি প্রমোদ ভ্রমনে এলে অতীত স্মৃতির বাসরে
দেখতে এলে আমি আছি কেমন দুঃখে পড়ে ?
মেঘের আড়ালে পড়েছে যে শশী
হয়েছে দূর পরবাসী
কি হবে আর ফুঁকে এ ভাঙ্গা বাঁশী
হাতে লয়ে অনুরাগের বশি
আর বাজবে না, আর বাজবে না
বৃথাই ফুঁকে, বাঁশীরে বৃথাই কষ্ট দিওনা ।
যে বাঁশী রইছে পড়ে অযতনের ভরে
কেনো গো লও হাতে বাজাতে তব সুরে ?
ওগো যাও দূরে, যাও দূরে
থাকতে দাও বাঁশীরে সেই অনাদরে ।
যে বাঁশী ভেঙ্গে গেছে, কেনো ধরো মিছে ?
জানো হে- জানো তুমি ; সবই আজি পিছে
যে তোমারে কদরে ধরে নিছে
বাজাও হে- তার বাঁশী, বসে তার কাছে ।
কি মনে, কি বা স্মরণে
তোমারে আজি পিছন স্মৃতি টানে ?
সুর মিলাতে, আমার সেই গানে ?
ওগো- ভাঙ্গা বাঁশী লইও না আর টেনে ।
যে আঁখি জল শুকায়নি আজো
টলমল মোর লোচন কোণে
যেথায় আছো হে- তারেই তুমি পূজো
মিশে যাও, তারি পরাণে ।
কি লাভ বলো, ঝরা ফুলেরে হেরে ?
সে যে ঘুমিয়ে পড়ছে ধূলিরই উপরে
জ্বলবে না আর আমার প্রদীপ রাত্রি প্রহরে
মম জনম যাকনা কেটে, এমন অন্ধকারে ।
ছোঁয়ায় তোমার, ভাঙ্গা বাঁশী
উঠছে গো- কেঁপে কেঁপে
ওরে- আজি হে- দূরের মন উদাসী
কি হবে আজি আমাতে, তোমারে সঁপে !
যাও তুমি, যাও ফিরে, তব নিবাসে
আর এসো না, মম পাশে, অনুরাগী বেশে
থেকো সেজে মন মজাতে তারি পাশে
পুলক যামিনীতে যেতে ভেসে ।
মলিন কায়ে থাকনা পড়ে, এ ভাঙ্গা বাঁশী
আরো পড়ুক ধুলোবালি, যতো রাশি রাশি
দেখো না- এ বাঁশীরে, কভু তুমি আসি
থেকো তুমি আপন দেশে, হয়ে পরবাসী ।