খাদিজার স্মরণে
প্রজাপতির প্রেম
মৌসুমী খাতুন
তোমার কথা বড্ড বেশি ই মনে পড়ে
তোমায় কত ভালবাসতাম আজও বাসি
তাইতো মনের দুয়ার বন্ধ করে রেখেছি
তোমার জাইগা টাও এখনো নেওয়ার মতো কেউ আসেনি আমার জীবনে
তোমার কথা বড্ড বেশী ই মনে পড়ে
তাইতো তোমার, শুধু তোমার কেন
আমাদের স্মৃতিগুলো এখনো আমি আঁকরে আছি বুকে নিয়ে
ডায়েরির পাতা লিখে লিখে শেষ হয়ে যায়
তবুও লেখা শেষ হয় না।
কারণ তুমি তো আর নেই , যে বলবো আমার মনের কথা
বুকে একটু একটু করে জমানো ব্যাথা।
তোমার কথা বড্ড বেশী ই মনে পড়ে
দুজনে সময় করে বিকেল বেলায়
বুড়ি গঙ্গার তীরে গিয়ে বসতাম আর বলতাম
সুখ দুঃখের, ভালো মন্দের কত কথা।
জানো এখনো মনে গেঁথে আছে ,একদিন বিকেলে
বুড়ি গঙ্গার তীরে দুজনে গিয়ে বসেছিলাম
আর সেদিন একটা দুর্ঘটনা ঘটে ছিল!
নদীর জলে পানাফুলের উপর একটা সুন্দর প্রজাপ্রতি এসে বসেছিল,ফুলের সৌন্দর্য্যে মুগ্ধ হয়ে
কিন্তু তা কি আর সইলো তার?
পাশ দিয়ে একটা জাহাজ এসে তার স্বপ্ন সমেদ
তাকেও শেষ করে দিয়ে গেল।
কি নির্মম দৃশ্য!
তোমাকে বলেও ছিলাম, দেখো প্রজাপ্রতি কিন্তু
চেয়ে ছিলো সৌন্দর্য্যকে
তবে তাঁর জানা ছিলো না , সব সৌন্দর্য্য সবার সয় না।
তুমি তখন মুখ বুঁজে ছিলে একটা কথাও বলোনি আর
হয়ত তুমি অন্যকে চাইতে, আর আমি তোমাকে!
তাই সেদিন কিছু না বলে চুপ ছিলে।
তোমার কথা বড্ড বেশী ই মনে পড়ে
তাইতো তোমায় আজও ভালোবাসি
তুমি নেই জানি তাও বাস্তব ভেবে
তোমাকে নিয়ে কতো কথা লিখি
কিন্তু কি বলো তো, তখন যেমন তুমি
আমার ভালবাসা বোঝনি
আজও আমার ভালোবাসা বোঝে না কেউ
সবাই ভুল ভেবে এখন আমার প্রেমে পড়তে চাই
তোমাকে নিয়ে আমার লেখা পড়ে।
ভাবে হয় তো তাদের কে নিয়ে আমার ভালোবাসা
জন্মেছে।
কিন্তু না, আমি শুধুই তোমাকে ভালোবাসি খাদিজা
তাই তোমার স্মৃতি নিয়েই বেঁচে আছি।
আর যত দিন বাঁচবো তোমার স্মৃতিও আমার
মধ্যে বেঁচে থাকবে, হয় তো মরে গেলেও থাকবে
আমার প্রতিটা লেখার মাঝে।
তোমার কথা বড্ড বেশী ই মনে পড়ে
তুমি থাকবে আমার স্মৃতির পাতায় হৃদয় জুড়ে।।