কবিতাঃ অশ্রুতপূর্ব
এম এম শাহানুর হোসেন
১২/০২/২০২০ ইং
$$$$$$$$$$$$$$$$$$$
শোনা হয়নি তোমার কথাটা যা বলতে চেয়েছিলে-
বিপিন বাবুর মোড়,দক্ষিণ কর্ণারের বটগাছের তলে দাঁড়িয়ে ইশারায় প্রথম ডেকেছিলে তুমি,
আমি দেখেছিলামও কিন্তু ভিড় ঠেলে যেতে পারিনি,লোক লজ্জা আমাকে থামিয়ে দিয়েছিল।
বৈকুণ্ঠ কাকার বাড়ির সামনে দিয়ে যাচ্ছিলাম সদরে,
কৃষ্ণকলী আর তুমি ছিলে ওদের ছাদে আমি আড় চোখে দেখতেই তুমি এগিয়ে এসে ফুলের টপটার পাশ থেকে বলেছিলে”তপন দাঁড়াও, একটা কথা বলার ছিল”
শ্যামল কাকার অসুখটা ছিল বাড়াবাড়ি পর্যায়ে,দাঁড়াতে চেয়েও পারিনি কাকার ঔষধ আনাটা ছিল বেশি জরুরী, শোনা হয়নি তোমার কথাটা।
শেষ ডেকেছিলে তুমি রেলস্টশনে, তখন আমি অনাত্মীয় আত্মীয় সেবায় ব্যস্হ; পরম আত্মীয় ভেবে
কিছু জামাকাপড় নিয়ে যাচ্ছিলাম অনাথআশ্রমে,
তোমার ডাক আমি শুনেছিলাম কিন্তু থামতে পারিনি
ট্রেনটা মিস হলে ওদেরকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি হতো ভঙ্গ,
ওদের স্বপ্ন ওদের হাসি মুখের ডাকটা ছিল তোমার চেয়েও জোরাল, আমি ছুটেছিলাম সেদিকেই,শোনা হয়নি তোমার কোন কথা।
সপ্তাহখানেক পর বাড়ি ফিরেই শশব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম তোমার খোঁজে আমার না শোনা কথা গুলো শুনব বলে কিন্তু
ততক্ষণে কনকনে ঠান্ডায় সজীব প্রকৃতি বিবর্ণ হয়েছে,
ঝরেগেছে সবুজ পাতা সব,বিধিবাম হলে যা হয় আর কি,
শুনি তোমরা বাসা বদল করেছ তোমার বাবার সরকারি চাকরির শর্ত মেনে,
তারপর অনেক খুঁজেও হদিস মেলেনি তোমার।
সাতটা বছর পর আজ আবার দেখলাম তোমায় নিউমার্কেটে,কপালে সিঁদুরে টিপ,চুলের মধ্যে সধবার চিহ্ন,হাতটা অন্য একটা হাতে ধরা,
বুকের ভিতরটা জ্বলন্ত তেলে জলের ফোটার মত ঝাঝিয়ে উঠল,
কিছু বলতে গিয়ে প্যারালাইজড হয়েগেল আমার আপদ মস্তক,আমি কোমায় চলেগেলাম;
সম্বিৎ ফিরে পেয়েছিলাম অসিতের স্পর্শডাকে,
,কিরে বাসায় যাবিনে?নিজকে সামলে বলেছিলাম, যাই।
ঢাকা ১২০৮
পরিবারের শ্রীবৃদ্ধি নিরন্তর কামনা করি ।